মালদহ: নাবালিকা খুনের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। সকালে চাষের জমি থেকে নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। দেহটি উদ্ধার করে ঘটনার তদন্তের নামে কালিয়াচক থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর প্রায় আট ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত যুবককে খুঁজে বার করে গ্রেফতার করল পুলিশ।
মঙ্গলবার ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে রামনগর গ্রাম থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবককের নাম বিশ্বজিৎ মণ্ডল (২৯)। বাড়ি মালদহের কালিয়াচক থানার রামনগর এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত নাবালিকার সঙ্গে ওই যুবক মিসকলের মাধ্যমে পরিচয় হয়। তারপর দুজনের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। এমনকী ওই যুবক বিবাহিত, তার পরিবারের দুই সন্তানও রয়েছে।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানান, ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিশ্বজিৎ মণ্ডল পুলিশকে জানিয়েছে, প্রায় ১০ দিন আগে ওই নাবালিকা ছাত্রীর সঙ্গে ফোন মারফত যোগাযোগ হয় বিশ্বজিতের। এরপর তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কালিয়াচকে ডাকে বিশ্বজিৎ। শারীরিক সম্পর্কের পর ওই নাবালিকা বিয়ে করার দাবি জানাতে থাকে। বিয়ে করতে নারাজ অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ মণ্ডল।
সেদিন রাতে দুজনের মধ্যে বচসা হয়। সেই সময় নাবালিকাকে তাঁর ওড়না জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে বিশ্বজিৎ। ধৃতকে বুধবার মালদহ জেলা আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় মালদহ জেলা পুলিশ। পুলিশ সুপার জানান, ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধারের পরই গাজোল, মালদহ, কালিয়াচক ও ইংরেজবাজার থানার বাছাই করা পুলিশ আধিকারিকদের নিয়ে একটি বিশেষ দল তৈরি করা হয়। সেই দলই অবশেষে অভিযুক্ত বিশ্বজিৎতে জালে ধরে ফেলে।
ব্যুরো রিপোর্ট : উড়ান নিউজ ।।
Post a Comment