১১তম আন্তর্জাতিক “বিজ্ঞানে নারী ও মেয়েরা” দিবস উদযাপিত হল কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে।
দেশাত্মবোধক বন্দে মাতরম উদ্বোধনী সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সুর বেঁধে দেন দেবলীনা ঘোষ।
স্বাগত ভাষণে প্রধানশিক্ষক ড. সুভাষচন্দ্র দত্ত বলেন, মেয়েরাও আজকের যুগে রোলমডেল হয়ে এগিয়ে আসছে। ছাত্রছাত্রীদের বিজ্ঞানমনস্ক করে তোলার কাজে এঁরা সকলেই কাজ করে চলেছেন।
অনুষ্ঠানে তিনজন আইকন ছিলেন যাঁরা বিজ্ঞান বিষয়ে জীবিকা বেছে নিয়েছেন। প্রথম আইকন সেহারাবাজারের একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা দ্যুতি কোনার বলেন, যারা আমার সামনে বসে আছ তারা একদিন বড় হবে। তবে তার আগে নিজেদের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হও। ফিমেল হাইজিন নিয়ে সবাই সতর্ক থাকো। ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন মেয়েদের বড় শত্রু। দরকারে পি সেফ ব্যবহার করো।
অন্যতম আইকন স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিক নুরুন্নেসা বলেন, খারাপ ব্যাপারে মেয়েদের না বলা শিখতে হবে। সুন্দরকে হ্যাঁ বলতে হবে। এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড. সুভাষচন্দ্র দত্তের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন মেয়েদের সমস্যা নিয়ে তিনি নানাভাবে কাজ করে চলেছেন। আমাদের রাষ্ট্রপতি মুখ্যমন্ত্রী এবং অনেক মন্ত্রী মেয়ে। গ্রামীণ ক্ষেত্রে বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এই অঞ্চলে জন্ম থেকে নারীর কম হিমোগ্লোবিন। এগুলোর ব্যাপারে তোমাদের সতর্ক থাকতে হবে। ফিজিকালি আর মেন্টালি ঠিকমতো গ্রোথ হলে তবেই বিয়ের কথা ভাববে।
অন্যতম আইকন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপিকা মৌটুসি মান্ডি বলেন, পড়তে ইচ্ছা আর ভালবাসা থেকে ভাল পড়াশোনা হবে। সেটাই জীবিকা আর জীবনের ভিত্তি। কেন এই প্রশ্ন মনে রাখবে আর তার উত্তর খোঁজার চেষ্টা করবে। প্রশ্ন থেকে বড় বড় আবিষ্কার হয়। আপেল পড়তে দেখে নিউটন সামান্য থেকে বিশেষে পৌঁছান। পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাবে। ডিএনএ আবিষ্কারক রোজালিন ফ্র্যাঙ্কলিন, মহাকাশ বিজ্ঞানী সুনীতা উইলিয়ামস, এঁদের জীবন পড়বে। আমি ব্যক্তিগতভাবে ফলমাছি ড্রসোফিলা নিয়ে গবেষণা করি। উৎসাহী হলে তোমরা ইউনিভার্সিটি এসে আমার কাজ দেখতে পার।
বর্ধমান প্যারা নিউট্রিশন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির কর্ণধার প্রলয় মজুমদার ছাত্রছাত্রীদের কাছে STEM অর্থাৎ সায়েন্স টেকনলজি ইঞ্জিনিয়ারিং আর ম্যাথামেটিক্স নিয়ে সহজ করে বুঝিয়ে বলেন।
ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে রিয়া মহাকাশ বিজ্ঞানী কল্পনা চাওলাকে নিয়ে গল্প শোনায়। মেরি কুরি নিয়ে বলে মুনমুন। কিরণ মাহাতো শোনায় জীবাণু বিজ্ঞানী অসীমা চট্টোপাধ্যায়ের জীবন। ক্ষেপণাস্ত্র বিজ্ঞানী টেসি থমাসকে নিয়ে বলে জয়ন্তী। মেয়েদের জীবনজীবিকা নিয়ে একটি কবিতা আবৃত্তি করে নৌরিন।
বিদ্যালয়ের রিটেল এবং হেলথ কেয়ার বিভাগের পক্ষ থেকে পমি সুস্মিতা মেঘা জুঁই অন্তরা শিল্পা নানারকম বিজ্ঞান মডেল প্রদর্শন করে।
কমল সাহার পরিচালনায় বিজ্ঞান বিষয়ে ওপেন হাউস কুইজ প্রতিযোগিতা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে উৎসাহের সঞ্চার করে।
*পূর্ব বর্ধমান থেকে দেবাশীষ ঘোষের সঙ্গে কুহেলী নস্করের রিপোর্ট উড়ান নিউজ*
Post a Comment