বীরভূম: সহপাঠীদের সঙ্গে নদীতে স্নান করতে গিয়ে কোপাই নদীতে ডুবে মৃত্যু হল যমজ দুই ভাইয়ের। তারা দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। সায়ক পাল ও সৌমেন পাল। বুধবার সকালে স্কুলে না গিয়ে ছয় বন্ধু মিলে কোপাই নদীতে স্নান করতে যায়। ছয় জনই সাঁতার না জানায় ঘটে বিপত্তি। স্নান করতে নেমে তলিয়ে যায় দুই ভাই। প্রায় ঘন্টাখানেক তল্লাশি চালিয়ে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বোলপুরের প্রফেসর কলোনি এলাকায়।



স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলে না গিয়ে ছয় সহপাঠী শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত গোয়ালপাড়া গ্রাম সংলগ্ন কোপাই নদীর সেয়ালা ঘাটে বেড়াতে যায়। সেই ছ’জনের মধ্যেই দুজন দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ সায়ক পাল ও সৌমেন পাল(১৬) স্নান করতে নামে কোপাই নদীতে। তখনই নদীর জলে চোরাস্রোতে তলিয়ে যায় দুজন। গ্রামবাসী ও পুলিশি তৎপরতায় প্রায় একঘন্টা পর জল থেকে উদ্ধার করা হয় তাদের দেহ। দুই যমজ পড়ুয়ার মৃত্যুর খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি প্রলয় নায়েক। এই ঘটনায় মৃত দুই যমজ পড়ুয়ার চার সহপাঠী কান্নায় ভেঙে পড়ে।


সহপাঠী সৌগত গড়াই জানায়, “আমরা কেউই সেভাবে সাঁতার জানি না। কোমর পর্যন্ত জলে নেমেই ভয় পাওয়ায় চারজন উঠে এসেছিলাম নদী থেকে। সায়ক ও সৌমেন ওরা দুজনেই অনেকক্ষণ ধরে স্নান করতে থাকে। পাড় থেকে নদীতে ঝাঁপ মারতে থাকে। দীর্ঘ সময় তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। পরে গ্রামবাসী ও পুলিশের সহযোগিতায় মৃতদেহ উদ্ধার করে।”


মৃত দুই যমজ পড়ুয়ার বাবা চণ্ডীচরণ পাল জানান, “হঠাৎই একটি ফোন থেকে জানতে পারি ছেলেদের এই অবস্থা। কখনওই ওরা অবাধ্য ছিল না। যমজ সন্তান হওয়ায় সব সময় শাসনের মধ্যে থাকত। আজ সব শেষ, সর্বনাশ হয়ে গেল।” স্কুলে না গিয়ে কীভাবে এতদূর রাস্তা সবার নজর এড়িয়ে সহপাঠীরা কেন কোপাই নদীতে গেল, সেই প্রশ্নই উঠছে। দেহ ময়না তদন্তের জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


ব্যুরো রিপোর্ট : কুহেলী নস্কর ।।

উড়ান নিউজ ।।

Post a Comment